ই-কৃষিঃ ই-কৃষি হলো ইলেকট্রনিক কৃষির সংক্ষিপ্ত রুপ। মোটকথা হলো, ইলেকট্রনিক প্রবাহের মধ্য দিয়ে কৃষি কর্মকান্ড সহায়ক তথ্য সরবরাহের প্রক্রিয়াই হলো ই-কৃষি।আর এর জন্য প্রয়োজন কম্পিউটার , মডেম, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন এসব আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি। এসব আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম সময়ে , কম খরচে কৃষি উপকরন , আবহাওয়া , উৎপাদন , সংরক্ষন , প্রক্রিয়াজাতকরন, বিপনন, বাজার তথ্য এসব পাওয়া সম্ভব।
ই-কৃষি কেনঃ
কৃষি ভিত্তিক বাংলাদেশে কৃষি বিষয়ক তথ্য প্রবাহে কে গতিশীল করতে না পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে না। তাই ই-কৃষি এখন সময়ের চাহিদা। কৃষি একটি গতিশীল বিজ্ঞান । গভেষনার মাধ্যমে প্রতি নিয়ত নতুন নতুন প্রযু্ক্তি উদ্ভাবিত হচ্ছে। কিন্তু এসব প্রযুক্তি সময়মতো কৃষকের কাছে না পৌছালে এর সুফল পাওয়া যাবে না।আমাদের দেশে একদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে আবাদী জমির পরিমান কমছে।এ অবস্থায় কম জমিতে বেশি খাদ্য উৎপাদন করা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেন্জ। এদিকে প্রচলিত ধারায় নতুন উদ্ভাবিত কৃষি প্রযুক্তি কৃষকের কাছে পৌছাতে বেশ সময় লাগে। অনেক সময় এসব আর উপযোগী থাকে না। ফলে নতুন উদ্ভাবিত কৃষি প্রযুক্তির সুফল মাঠে প্রতিফলিত হয় না। আর এসকল বিষয় বিবেচনা করে ই-কৃষি ব্যবহার অত্যান্ত জরুরী।
ই-কৃষি কিভাবেঃ
প্রযুক্তির সফল ব্যবহারের মাধ্যমে ই-কৃষি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। ইতোমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ই-কৃষি সেবা চালু হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেথ যোগ্য কয়েকটি হলোঃ
১* কৃষি ভিত্তিক ওয়েব সাইট
২* কমিউনিটি কৃষি তথ্য কেন্দ্র
৩* কমিউনিটি রেডিও
৪* কৃষি সেবা লাইন বা কৃষি কল সেন্টার
৫* অনলাইন টেলিভিশন
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস