বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় খাত হচ্ছে কৃষি। ২০১৬ সালের তথ্যমতে, এটি মোট শ্রমশক্তির ৪৭ ভাগ যোগান দিয়ে থাকে এবং দেশের জিডিপিতে এর অবদান ১৬ শতাংশ।[১] দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র দূরীকরণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তায় এই খাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
ধান, গম, আম ও পাট এখানকার প্রধান ফসল। সেচ সুবিধার ব্যাপক প্রসারের ফলে অনেক গম উৎপাদক ভুট্টা উৎপাদনে ঝুঁকে পড়ছে যা প্রধানত মুরগী খামারে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।[৪] ধান বাংলাদেশের প্রধান ফসল, ২০০৫-০৬ সালে যার উৎপাদনের পরিমান ছিল ২৮.৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন। অন্দিকে ২০০৫-০৬ সালে গমের উৎপাদন ছিল ৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন।
বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ চাল উৎপাদক দেশ। গম বাংলাদেশের চিরায়ত কোন ফসল নয় এবং ১৯৮০ এর শেষের দিক থেকে গ্রামীণ এলাকায় অল্প পরিসরে এর উৎপাদন শুরু হয়।[৪] ষাট এবং সত্তরের দশকে এর চাহিদা বাড়তে থাকে কেননা সেসময় বৈদিশিক সাহায্যের অন্যতম উপকরণ ছিল গম। আশির দশকের প্রথমার্ধে দেশীয় গমের বাৎসরিক উৎপাদন ১ মিলিয়ন টন ছাড়িয়ে যায় কিন্তু এর পরিমাণ ছিল মোট উৎপাদিত খাদ্যের ৭ থেকে ৯ শতাংশ মাত্র। ১৯৮৫ অর্থবছরে রেকর্ড ১.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়। প্রায় অর্ধ শতাংশ গমের উৎপাদন ছিল সেচ সুবিধাযুক্ত জমিতে। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত গম চাষের জমির পরিমান অপরিবর্তিত থাকে যা কি না মোট চাষযোগ্য জমির ৬ শতাংশের কিছু কম।
আমদানিকৃত খাদ্যের বেশীরভাগই হচ্ছে গম যা প্রতি বছর ১ মিলিয়ন টন হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ১৯৮৪, ১৯৮৫ এবং ১৯৮৬ অর্থবছরে যা ১.৮ মিলিয়ন টন ছাড়িয়ে যায়। আমদানিকৃত গমের বেশীরভাগই খাদ্য কর্মসূচীর আওতায় অর্থায়ন করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইকোনোমিক কমিটি এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম।
খাদ্যশস্যের উৎপাদন মূলত দেশীয় চাহিদা মেটাতেই হয়ে থাকে। সীমিত পরিমানে কিছু শতাংশ বানিজ্যিক ভিত্তি করা হয়ে থাকে। দেশীয় চাহিদা মেটাতে উৎপাদিত খাদ্যশস্যের মধ্যে রয়েছে আলু ও মিষ্টি আলু, ১৯৮৪ অর্থবছরে উভয়ের মোট রেকর্ড উৎপাদনের পরিমান ছিল ২৫০০০ টন। এছাড়াও উৎপাদিত ফলের মধ্যে রয়েছে আম, কলা, কাঁঠাল এবং আনারস। চিনির বাৎসরিক উৎপাদনের পরিমান ৭ মিলিয়ন টনের বেশী যা কিছু প্রক্রয়ায় উৎপাদিত হয়ে থাকে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS